ঢাকা-কলকাতা- মৌসুনী দ্বীপ - জাম্বু দ্বীপ

ভ্রমনের নাম: 

ঢাকা-কলকাতা-মৌসুনী দ্বীপ-জাম্বু দ্বীপ

রুট: ঢাকা – কলকাতা- নামখানা – মৌসুণী দ্বীপ- জাম্বু দ্বীপ –বকখালী সৈকত

 

বিশেষ আকর্ষণ : তাবুতে রাত্রি যাপন, জাম্বু দ্বীপ নৌকা বিলাস।

ভ্রমনের উত্তম সময়:  ১ অক্টোবর হতে এপ্রিল ১৫ তারিখ ।

খরচ: ১৪৫০০ টাকা   
 স্থিতিকাল: ৫দিন ৬রাত

 
ভ্রমন বৃত্তান্ত:

দিন ১:

রাত ১০টায় এসি বাসে বেনাপোল যাত্রা শুরু।।

   দিন ২:

সকালে বেনাপোলে সকালের নাস্তা , কাষ্টম ও বর্ডার নিয়মতান্ত্রিক কর্ম সম্পাদন। বনগাঁও হতে কোলকাতা যাত্রা । হোটেলে অবতরণ। দুপুরে খাবার । বিকালে কলকাতা শহর ভ্রমন। শ্রী লেদার ও কয়েকটি নামকরা মলে বিচরণ। কোলকাতা হোটেলে রাত্রি যাপন ।

দিন ৩:

Mousuni Island

ভোরে যাত্রা শুরু । নামখানা বাজারে  সকালের নাস্তা । আবার যাত্রা । দুপুরে মোসুনী দ্বীপে  লেগেজ রেখে  দুপুরের আহার। বিকালে নৌকা করে জাম্বু দ্বীপে বিচরণ। রাতে বার বি কিউ । ক্যাম্প ফায়ার আর আগুনে ছ্যাকা আধা পোড়া মাছ আর মাংস। তাবুতে বাত্রি যাপন। চাঁদের প্রতিফলন পড়ে সমুদ্রের জলে।সমুদ্রে ঢেউয়ের গর্জনে আপনার রোজকার চেনা - জগত হারিয়ে যাবে। ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত মনের সব গ্লানি মুছে যাবে। আবার জ্যোৎস্নাহীন রাতে তারায় তারায় ভরে উঠে আকাশ। অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে সমুদ্র-আকাশের মহামিলনে।

দিন ৪:

পরের দিন সকালে আর একবার দ্বীপটা  চক্কর মেরে । ১০টায় ফেরি ঘাটে রওনা করে । ওপারে সা্তমাইল হতে নির্ধারিত গারিতে বকখালি রওনা।  ২টায় পূর্ব বুককরা হোটেলে চেকইন করা। ( এখানে সরাসরি এসে হোটেল পাবেন না) খাবার খেয়ে কেনাকাটার জন্য বাজারে ও আসেপাসে যেতে হবে সন্ধ্যায় সূর্যাস্ত দেখা। পার্টি ও মাস্তি  ......

(রাজ্যের দক্ষিণ একেবারে দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত মৌসুনি। এই দ্বীপের কাছাকাছি বালিয়াড়া বিচ। জন কোলাহলের বাইরে এখানে থাকবে ভিন্ন এক অনুভূতি । পশ্চিমবঙ্গের শেষতম বিন্দু জাম্মুদ্বীপকে বালিয়াড়া থেকে দেখতে পাওয়া যায়। পাশে দেখা যাবে সাগর দ্বীপকে।

স্থানীয় বাড়ির মহিলারা মাছ ধরতে আসে জাল নিয়ে। সমুদ্র ওদের খোরাক জোগায়। রুটি-রুজির খোঁজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও লড়াই করে। শহুরে মানুষ মহিলাদের মাছ ধরা দেখে অবাক ই হবে। সমুদ্রতট ধরে হাঁটাহাঁটি করে যতদূর ইচ্ছে চলে যেতে পারেন। ভিড়ে ঠাসা হয়ে নাস্তানাবুদ হতে হবে না

এখান কার সমুদ্র তটে সন্ধ্যে নামার মুহূর্তটি বড় উপভোগ্য।রঙ্গিন সূর্যটা আস্তে আস্তে ডুবে যায়। সমুদ্রে রং ছড়ায়।অসীম অনন্ত জলরাশিতে ডুবে যায় সূর্য। জ্যোৎস্না রাতে চাঁদ উঠলে শোভা বাড়ে সমুদ্রের। চাঁদের প্রতিফলন পড়ে সমুদ্রের জলে। সমুদ্রে ঢেউয়ের গর্জনে আপনার রোজকার চেনা  জগত হারিয়ে যাবে।

ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত মনের সব গ্লানি মুছে যাবে। আবার জ্যোৎস্নাহীন রাতে তারায় তারায় ভরে উঠে আকাশ। অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে সমুদ্র-আকাশের বন্ধনে। সমুদ্রের ধারে এক রাত কাটালেই ঘরে ফেরার কথা মনে উঠলেই মন কেমন করবে, এটা নিশ্চিত।)

দিন ৫ 
নাস্তা সেরে কলকাতা রওনা । পথে কাকদ্বীপ এ ২ ঘন্টা সময় সাইট সিইং । ২টায় কলকাতা হোটেলে । বিকালে সিনেমা ও সপিং । বিগ বাজার ও কয়েকটি জায়গা। রাত্রে নিজেরা রান্না করে মাস্তি ।
দিন ৬: 
কলকাতা হতে অশোকনগর তারা মন্দির ও মিলেনিয়াম পার্ক
 দেখে দুপুরের খাবার খেয়ে হরিদাসপুর যাত্রা ৪ টায় বর্ডার পার হয়ে ঢাকার ... পথে যেতে হবে ........ 


সবাইকে ধন্যবাদ